Site icon সঙ্গীত গুরুকুল অনলাইন, GOLN

পণ্ডিত ওকারণাথ ঠাকুর । শিল্পী জীবনী

বরোদার এক নিষ্ঠাবান পরিবারের পণ্ডিত ওকারণাথ ঠাকুর জন্ম হয় ১৮৯৭ সালের ২৪শে জুন। তাঁহার পিতার নাম ছিল পণ্ডিত গৌরিশঙ্কর। ওঙ্কারনাথজী সমগ্র জীবন সাত্ত্বিকভাবে যাপন করিয়া গিয়াছেন। মাত্র ১৪ বৎসর বয়সে তাঁহার পিতার মৃত্যু হয়।

পণ্ডিত ওকারণাথ ঠাকুর । শিল্পী জীবনী

 

 

বাল্যকাল হইতেই তিনি সুকণ্ঠ তথা অধ্যবসায়ের গুণে বিষ্ণুদিগম্বর পালুস্কারের বোম্বাইয়ের গান্ধর্ব সঙ্গীত বিদ্যালয়ে স্থান পাইয়াছিলেন। এবং নিজ কৃতিত্বেও গুলে অচিরেই উক্ত বিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রম সাফল্যের সহিত অতিক্রম করিয়াছিলেন এবং পরবর্তীকালে লাহোরে গান্ধর্ব মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষরূপে প্রতিষ্ঠিত হন।

একবার মহাত্মা গান্ধী তাঁহার “বন্দোমাতরম” গানটি শ্রবণ করিয়া বলিয়া ছিলেন, “আমরা দেশাত্মবোধক এবং পরাধীনতার শৃঙ্খল মোচনে বক্তৃতা বা নানা ভাষণের মধ্য দিয়া সাধারণের মনে যে দেশপ্রেমের উদ্রেক করিতে সমর্থ হইয়াছি তাহা অপেক্ষা ওঙ্কারনাথজীর ‘বন্দোমাতরম’ গানটি অনেক বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালনে সক্ষম।”

 

গুগল নিউজে আমাদের ফলো করুন

 

পণ্ডিত ওঙ্কারনাথ একজন যুগান্তকারী এবং কৃতি শিল্পী ছিলেন ইহাতে কোনই সন্দেহ নাই। তাঁহার রাগের স্বরবিস্তার, তান এবং লয়কারী বিশেষ বৈশিষ্ট্যের দাবী রাখে। ভজন এবং অন্যান্য শৈলীর সঙ্গীত উনি খুবই পারদর্শী ছিলেন এবং তিনি কয়েকটি রাগেও স্রষ্টা। উনি যে কেবল ক্রিয়াত্মক সঙ্গীতেই পারদর্শী ছিলেন তাহাই নহে ঔপপত্তিক অংশেও তাঁহার অসাধারণ পাণ্ডিত্য ছিল।

ভবিষ্যৎ সঙ্গীত অনুরাগীদের জন্য হিন্দী এবং গুজরাটী ভাষায় কয়েকটি অমূল্য গ্রন্থ রচনা করিয়া গিয়াছেন। তন্মধ্যে হিন্দী ভাষায় “প্রণব ভারতী” “সঙ্গীতাগুলি” ইত্যাদি এবং গুজরাটী ভাষায় “রাগে অনে রস” উল্লেখযোগ্য। ১৯৩৩ সালে ইটালীর ফ্লোরেন্স নগরে আন্তর্জাতিক সঙ্গীত সম্মেলনে আমন্ত্রিত হইয়া তিনি যোগদান করেন।

 

 

১৯৫৫ সালে ভারত সরকার এই অমর শিল্পীকে “পদ্মশ্রী” উপাধি দ্বারা ভূষিত করেন। ১৯৬৭ সালের ২৮শে ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার এই যুগান্তকারী শিল্পী অমৃতলোকে যাত্রা করেন।

 

 

আরও দেখুনঃ

Exit mobile version